মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার
বৃহত্তর ঈদগাহ জনকল্যাণ পরিষদ ও পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি শহীদ জয়নাল আবেদীন চৌধুরীর ২৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সংগঠনের উদ্যোগে বাদে জুমা আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন ছিল।
ঈদগাঁও জাগির পাড়া বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স জামে মসজিদে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঈদগাঁও উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ছলিম উল্লাহ জিহাদী।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সেলিম উল্লাহ ওয়াহেদীর সভাপতিত্বে এতে গণ্যমান্য ও নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ আলহাজ্ব আমির সোলতান,, মোঃ ইউসুফ, মুফিজুর রহমান মুফিজ, মাওলানা এনামুল হক ইসলামাবাদী, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ মহসিন, সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ আলম, নুরুল হুদা, হাফেজ শামসুল আলম, হাফেজ দিদারুল ইসলাম, মাস্টার মারুফুর রশিদ, কামরুল আহসান বায়েজিদ, মাওলানা নুরুল আবছার, এমদাদুল হক, নেয়ামত উল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ঈদগাঁওর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কলংকিত দিন ছিল ১৯৯৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। এ মাসের শুরু থেকেই ঈদগাহ কলেজে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ছাত্রলীগ গন্ডগোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে।
৫ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কলেজ শিবির কর্মীদের উপর
হামলা করে। একই তারিখ কক্সবাজার সিটি কলেজেও হামলা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, সে দিন আলমাছিয়া মাদ্রাসার পুর্ব পার্শে ঈদগাঁও শিবির সেক্রেটারী বশরীকে রাম দা দিয়ে কোপায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ।
এ দিকে কলেজে ছাত্রদের উপর হামলার বিষয়ে শহীদ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী শিবিরের পক্ষ থেকে কলেজ অধ্যক্ষের নিকট বিচার প্রার্থনা করেন। দিন ঠিক হয় ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় বিচার হবে কলেজে। ৬ তারিখ রাতে ঈদগাঁও বাজারের মাতবর মার্কেটের ছাদে বিচারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
তারা উল্লেখ করেন, পরদিন সকালে কলেজে যান জয়নাল আবেদিন। ওদিকে আগে থেকে প্লান করে নানা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উৎপেতে থাকে সন্ত্রাসীরা। কয়েক জনকে নিয়ে জয়নাল কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকার পথে তাকে গুলি করা হয় এবং তার একটি হাতের কব্জি কেটে নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করা হয়। সন্ত্রাসীরা জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। পরে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে জয়নালের মৃত্যু হয়।
Leave a Reply